আপনি আগে অনেক সুন্দর ছিলেন, নিষ্পাপ চেহেরা ছিলো, কিন্তু আজকাল চেহারার লাবণ্যতা হারিয়ে যাচ্ছে। বয়েসের আগেই চেহেরায় বয়সের আগাম ছাপ পড়ে যাচ্ছে।
আপনি খুব সুখি ছিলেন, ছোট্ট ছোট্ট বিষয়গুলোও আপনাকে অনেক আনন্দ দিতো। আজকাল কিছুই ভালো লাগে না। হাজার মানুষের মাঝেও নিজেকে একা লাগে। সবকিছুতেই কেমন যানি বিরক্তি এসে গেছে আপনার।
আগে নিজের যেকোন বিপদে আপনি কোন এক ঐশ্বরিক-ভাবে উদ্ধার হয়ে যেতেন; কোন বিপদই আপনাকে কাছে এসে ছুঁতে পারতো না। জীবনের ছোট-বড় সব বিপদগুলো পাশকাটিয়ে চলে যেতে বাধ্য হতো।
কিন্তু আজকাল বিপদ যেন আপনার পিছুই ছাড়ছে না। একেরপর এক বিপদ সামলাতে আপনার, পরিবারের ও সংসারের অবস্থা নাজেহাল।
আপনি কি একবারও ভেবে দেখেছেন, হঠাৎ আপনার জীবনের দৃশ্যপট এমন ৯০ ডিগ্রী পাল্টে গেলো কেন?
পাল্টে গেলো-
কারণ, আপনি অন্যের সুখে নিজের অজান্তে হিংসাপরায়ণ হয়ে উঠছেন;
দিন-রাত আপনি অন্যের অপ্রোয়জনীয় সমালোচনায় ব্যস্ত;
নিজের ভূল সংশোধন বাদ দিয়ে অন্যের ভূল ধরা নিয়ে সদা তৎপর;
এবং আপনি স্বীকার করেন কিম্বা না করেন, আজকাল চোখে চোখ রেখে আপনার মিথ্যা বলার পরিমান-টাও অনেক গুণ বেড়ে গেছে।
অতএব, এখন থেকেই নিজেকে পরিবর্তন করুন, অন্তত চেষ্টা করুন। সবকিছুকে স্বাভাবিক ও ইতিবাচক হিসেবে দেখুন। সমালোচনা বাদ দিয়ে, অন্যের ভালো দিকগুলোকে তুলে ধরুন। বন্ধুবান্ধব ও পরিচিতজনের সম্মানকে নিজের ব্যক্তিগত সম্মান বিবেচনা করুন।
দেখবেন- ধীরেধীরে আপনার জনপ্রিয়তা বেড়ে যাচ্ছে, আপনি হয়ে উঠছেন আবারও সুখি ও সমৃদ্ধ।
মনে রাখবেন, বিভাজন করতে যে-কেও পারে কিন্তু বিভাজন-কারীরা ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনের চুড়ান্ত বিচারে ব্যর্থ প্রতীয়মান হয়।
তাই, বিভাজন নয়, বরং মানুষকে ধরে ও আগলে রাখা; নিজের ও অপরের সাথে সম্পৃক্ত করার মাঝেই আপনার আসল কৃতিত্ব।
Leave a Reply